পার্বত্য এলাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। তারা সবাই মিলেমিশে চলেন। এখানকার ইউনিটিটা ইউনিক, এটা আমি লক্ষ্য করেছি। আমরা কাজ করছি, যাতে আপনাদের মুখে একটু হাসি ফুটাতে পারি। সেই লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।‘
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন পাহাড়িদের ‘প্রীতি সম্মিলনী ও আলোচনা সভা’য় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকাস্থ পাহাড়ি বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু ও সাংক্রান পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি এর আয়োজন করে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশে কনিস্টিটিউশনাল এই যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে; এর মধ্যে পাহাড়ের তিন জেলায় ১৩ থেকে ১৯টি রয়েছে। তারা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভালোবাসেন। তাদের আনেক কিছু দিলেও বোধহয় ঢাকা শহরে আসবে না। তারা যার যার সংস্কৃতি, তাদের যে অবস্থান, সেটাকেই তারা ভালোবাসেন, সেটাই আঁকড়ে থাকতে চান। এই সহজ-সরল মানুষগুলোকে এগিয়ে যেতে হবে, তাদের আলোকিত করতে হবে। শিক্ষাসহ এখানকার সমস্যার সমাধানে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।‘
পাহাড়িদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে আপনাদের সংস্কৃতি, ভাষা ধরে রাখা আমাদের কাজ। এটা নিয়ে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা বুক উঁচু করে বলবেন— আমরা চাকমা, আমরা মারমা, আমরা ত্রিপুরা উপজাতি। আমরা সেই আবর্তেই আপনাদের রাখবো।‘
দেশের পার্বত্য তিন জেলা অপার সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়-ঝরনা থেকে শুরু করে ঊর্বর ভূমি রয়েছে এখানে। কিন্তু কষ্টের জায়গাটা হলো— যখন দেখি তারা পিছিয়ে পড়েছেন, যখন দেখি তারা অনেক সুবিধাবঞ্চিত। সেই জায়গাটিতে কাজ করার জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করি।’
শৈলজ বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি, শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সালাউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকা ওয়াসার সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ক্যসাচিং মারমা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক কিরীটি চাকমা প্রমুখ।