চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তবে পিবিআই গত ১৮ মার্চ নাছিরের করা পাল্টা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পরীমণি ও জিমি-র বিরুদ্ধে তদন্তের চার্জশিট দাখিল করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো: মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে।
পিবিআইয়ের তদন্তে বলা হয়েছে, অ্যালকোহল পার্সেল দিতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি অকথ্য ভাষায় গালি দেন ও কাচের জিনিসপত্র দিয়ে নাছির ইউ মাহমুদকে আঘাত করতে থাকেন। এ বিষয়ে নাছির আদালতে পরীমণির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করলে আদালত মামলা করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বোট ক্লাবের এ ঘটনায় পরীমণি সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। অন্যদিকে পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ক্লাবের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা ৯৫০/২০২২ দায়ের করেন নাছির ইউ মাহমুদ।