বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পবিত্র শবে মেরাজ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় আজ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে মসজিদে কিংবা নিজ গৃহে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
পবিত্র শবে মেরাজ ইসলামের এক মহিমান্বিত রজনী। ১৪৪৬ হিজরি সনের ৭ম মাস রজবের ২৬ তারিখে শবে মেরাজ পালিত হয়। এটি এক মহিমান্বিত রাত যে রাতে মহানবী (সা.) মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। তিনি মহান আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন।
ফারসি শব শব্দের অর্থ রাত ও আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ সময় তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।
এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। মুসলিম বিশ্ব অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতিবছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতটিকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।