শুক্রবার, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা সারাদেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন হাসিনার দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে : সারজিস শেখ হাসিনাকে পুনর্বহালের ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : জয়নুল আবদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কোনো দেশের সম্পৃক্ততা পেলে দায়ী করা হবে-তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎহীন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ পেঁয়াজের দাম কমছেই, খুশি ভোক্তারা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য মিল-কারখানা, বেকারের আর্তনাদ

পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, যা বললেন পাবিপ্রবির শিক্ষক

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৮৫ বার পঠিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলিম পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে তার সামনে অবস্থান করতে শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাকে বুঝিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে ড. এম আবদুল আলীম বলেন, ‌‘প্রায় চার বছর ধরে আমার পদোন্নতি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমাকে পদোন্নতি দিতে চার বছর আগেই মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রশাসনকে আমার সম্পর্কে ভুলভাল বুঝিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি আপাতত অবস্থান থেকে সরে এসেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, শিক্ষক আবদুল আলীম সকালে ক্যাম্পাসে এসে প্রথমে নিজের বিভাগে যান। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে যান। একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে এসে তালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে শিক্ষক আবদুল আলীম ভবনের সামনে বসে পড়েন।

এ ব্যাপারে পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘ড. আবদুল আলীমের ধারণা আগেকার মতো তালা ঝুলিয়ে দিলেই কোনো কার্য হাসিল করা যায়, এটা সঠিক নয়। আমি তাকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির। আবদুল আলীম শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে সোচ্চার হন তারা। তখন উপাচার্যের সঙ্গে আবদুল আলীমের মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরপরই আটকে যায় এই শিক্ষকের পদোন্নতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com