পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ধর্ষণের পর শিশু লামিয়াকে (১১) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ সোমবার সকালে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার উপজেলার চরআন্ডা এলাকা থেকে আসামি আল-আমিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। আল-আমিন একই এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে।
গত শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: সাত মাসের শিশু হত্যা মামলায় নারীর যাবজ্জীবন
ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রোববার আল-আমিনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেন। মরদেহ গুম করার জন্য বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ফেলার কথাও জানান আসামি। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধারে অভিযুক্ত আল-আমিনকে নিয়ে নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তার দেখানো স্পটে জাল ফেলে তল্লাশি চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চরআন্ডা বাজারে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে যায় লামিয়া। ফেরার পথে অটোরিকশাচালক আল আমিন হাওলাদার তাকে ডেকে বিলে নিয়ে যান। এরপর ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে স্কুল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বিভিন্ন আলমত এবং আল-আমিনের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ দিকে শিশু লামিয়ার হত্যাকারীর বিচার দাবিতে রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি থেকে ধর্ষকের ফাঁসির দাবি তোলা হয়। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান সচেতনমহল।