বৈশ্বিক সঙ্কটের প্রভাবে অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা আর আগামী নির্বাচনে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৭৫বছরে পা রাখলো উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। টানা তিন মেয়াদের জয় আর দেশব্যাপী উন্নয়ন নিয়েআছে সন্তুষ্টি।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের।
সেই কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম যুগ্ম–সম্পাদক। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শ ধারণকরে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ। ১৯৬৬ সালে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে দলের নেতৃত্বেআসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ছেষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, ৭০ এর নির্বাচন আর ৭১ এরমহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাল সবুজের এক নতুন মানচিত্রে যাত্রা।
কিন্তু ৭৫ পরবর্তীতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এই দলটিকে। দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখহাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালের নির্বাচনে হারের পর আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায়ফেরা। তারপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
এই সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পারমানবিকবিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। দেশে বিদেশেপ্রশংসিত হয় বাংলাদেশ। বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃত্বের তালিকায় উঠে আসে শেখ হাসিনার নাম। যা দলটির সাম্প্রতিকইতিহাসের সবচে বড় অর্জন।
তবে করোনার পর রুশ–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি হওয়া সংকটে মূল্যস্ফীতি নিয়ে নিয়ে অস্বস্তি যেমন আছে তেমনি নির্বাচনেরআগে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোস না করে আওয়ামী লীগের মূল আদর্শ ধরে রাখাকেও চ্যালেঞ্জ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মনোনয়নের দৌড়ে ব্যবসায়ীদের পাশ কাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতারা যাতে জায়গা পান আওয়ামী লীগেরকাছে সেই আশাও করছেন বিশ্লেষকরা।