বোলিংয়ে এগিয়ে রেখেছিলেন জান্নাতুল মাওয়া-ফাহমিদা ছোঁয়া। নেপালের মেয়েদের বিপক্ষে বাকি পথ ব্যাটিংয়ে সহজেই পেরিয়েছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাতেই এসেছে দাপুটে জয়। উদ্বোধনী ম্যাচে জুনিয়র টাইগ্রেসরা পেয়েছে ৫ উইকেটের বড় জয়।
মালয়েশিয়ার ইউকেএম ক্রিকেট ওভালে এদিন বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডবে ৫২ রানের বেশি যেতে পারেনি নেপাল। জবাবে ৫ উইকেট হারালেও ৪০ বল হাতে রেখেই জয় তুলেছে লাল-সবুজের দল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন সাদিয়া ইসলাম।
শুভসূচনা পাওয়ার দিনে টস ভাগ্য দেয় বাংলাদেশের সঙ্গ। অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার নেন বোলিং। সে সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তার প্রমাণ কিছুক্ষণ পরেই পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্য পায় দল। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা।
একপাশ আগলে রেখে ওপেনার সানা পারভীন ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে জান্নাতুল মাওয়ার বলে বোল্ড হয়ে তিনি ফেরেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সীমানা কেসি। তবে ১০ রান করে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন দলীয় ৪১ রানে, তার আফসোস বাড়ায় রান আউটটা। সেটা অবশ্য নেপাল ইনিংসের প্রথম রান আউট নয়, সে ইনিংসে আরও ৪ রান আউট হয়েছে। ফলে ৫২ রানেই গুটিয়ে যায় নেপাল।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ উইকেট নেন মাওয়া। একটি করে উইকেট নেন আনিসা আক্তার সোবা, ফাহমিদা ছোঁয়া আর নিশিতা আক্তার।
ছোট লক্ষ্যের জবাবে বুঝেশুনে এগোনো বাংলাদেশও ভালো শুরু পায়নি। দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো দল টপ অর্ডারের আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ১১ রানের মাথায়। তখন দলকে টানেন সাদিয়া ইসলাম ও সুমাইয়া আক্তার। সাদিয়া ২৪ বলে খেলেন ১৬ রানের ইনিংস। সুমাইয়া ফেরার আগে করেন ১২ রান।
বাকি পথে আর ভুল করেনি বাংলাদেশ। আফিয়া আসিমার ৯ ও জান্নাতুল মাওয়ার অপরাজিত ৫ রানে ১৩.২ ওভারেই জয় তোলে বাংলাদেশ।
শুভ সূচনা পাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার অস্ট্রেলিয়া। ২০ জানুয়ারি অজি মেয়েদের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। এরপর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুমাইয়ারা খেলবেন ২২ জানুয়ারি।