বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কার্যকরভাবে স্বাধীন না হলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কারণে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এর মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৯১ (ক) ধারা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে এখন ‘নখদন্তহীন বাঘে’ পরিণত করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশে এম এ মতিন এসব কথা বলেন। তিনি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমমনা দুটি জোটের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এম এ মতিন। তিনি বলেন, দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) জোটের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও তাদের পরস্পরের প্রতি আক্রমণ সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করছে। দুটি জোটের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক আচরণে দেশবাসী শঙ্কিত। সব দলের উচিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। দেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা এবং সংকটময় অর্থনীতি যেন আরও হুমকিতে না পড়ে, সে বিবেচনাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন ‘সুফিবাদী’ জনতার অধিকার আদায়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে মোমবাতি প্রতীকে ভোট দিয়ে শান্তিপ্রিয় জনতার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রভাবশালী কিছু দেশের তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যাবে না, যেন বাইরের কোনো শক্তি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব খাটাতে পারে। আমরা এমন রাজনীতি চাই না, যাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান কাজী মুঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু নাসের তালুকদার, তৈয়ব আলী, শায়খ আবু সুফিয়ান খান, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আবু তালেব, এম সোলাইমান ফরিদ, আবু জাফর মঈনুদ্দিন, শাহজালাল আহমদ, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ, গোলামুর রহমান, ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মাসুম বিল্লাহ মিয়াজি ও ইসলাম উদ্দিন।