নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসন দেশের মানুষ মানবে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি আয়োজিত রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট থেকে তালতলা মার্কেট হয়ে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচির আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সেলিম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে আর কোনো জাতীয় পর্যায়ের প্রতারণা বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসন দেশের মানুষ মানবে না। গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অতীতের মতোই স্বৈরতন্ত্রের উচ্ছেদ ঘটিয়ে মানুষ ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
তিনি বলেন, ভোটাধিকারের সংগ্রাম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পূর্বশর্ত সৃষ্টি করেছিল। স্বাধীন দেশে রক্তের বিনিময়ে বারবার ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ও রাতের ভোটের সংসদ বলবৎ রেখে কোনো সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার কোনো বিকল্প নেই। শাসন ব্যবস্থায় মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য আরও বক্তব্য দেন- সিপিবির কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহীন রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার প্রমুখ।
সমাবেশে সিপিবি নেতারা বলেন, মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চলমান লুটপাটতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের অবসানের লক্ষ্যে দেশের আপামর জনসাধারণকে গণ-আন্দোলনে শামিল হতে হবে। একদিকে সরকার বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করছে অন্যদিকে সরকারপ্রধান দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত-আর্তমানুষের সঙ্গে একের পর এক তামাশা করে চলেছেন।
তারা আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের তিন জোটের রূপরেখার সঙ্গে বিগত দিনে ক্ষমতাসীন দলগুলো বিশ্বাসঘাতকতা করেই আজকের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে তীব্র রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।