বুধবার, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ অভিযান চালাতে গাজায় ঢুকেছে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৫ বার পঠিত

ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ গাজার উত্তরাঞ্চলে ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে রাতভর ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে অভিযান চালিয়েছে।

তারা বলেছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ‘অনেক সন্ত্রাসী সেল, অবকাঠামো এবং অ্যান্টিট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত স্থাপনা’য় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযানের ভিডিও পোস্টে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘এরপর সৈন্যরা ওই এলাকা ত্যাগ করে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ফিরে আসে।’

এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এই অভিযান কখন চালানো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

তবে বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার অংশীদার সিবিসি জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি স্থল অভিযান পেছানো হয়েছে।

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তেল আবিব থেকে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, স্থল অভিযানটি কখন থেকে শুরু করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেয়া হবে।

‘আমরা এরইমধ্যে হাজার হাজার হামাস সদস্যকে হত্যা করেছি এবং এটা শুরু মাত্র,’ বলেন তিনি।

‘একই সাথে আমরা একটি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বলতে চাই না যে সেটি কখন, কিভাবে বা কতজন থাকবে। স্থল অভিযান নিয়ে আমরা কী কী বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করছি সে সম্পর্কেও বিস্তারিত বলতে চাই না আমি, সাধারণ মানুষ এগুলো সম্পর্কে কিছু জানে না এবং এটাই হওয়া উচিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “৬ অক্টোবরের আগে যেমনটা ছিল ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সেই ‘স্থিতিশীল’ অবস্থানে ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।”

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মঙ্গলবার ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধের বিষয়ে তার দেয়া একটি বিবৃতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। বলেন, বিবৃতিতে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ইসরাইলে ঘটিত ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা জানান তিনি। সেখানে তিনি আরো বলেছেন, এই হামলা ‘বিনা কারণে’ হয়নি।

তার প্রকৃত বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘ফিলিস্তিনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা হামাসের হামলাকে বৈধতা দিতে পারে না।’

এদিকে গাজায় জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে জরুরি চিকিৎসা সেবা বাদে আর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতালগুলো।

ইসরাইল গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এবং অভিযোগ তুলেছে যে হামাস এগুলোর মজুদ করে রেখেছে।

গাজায় থাকা হামাসের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের হামলায় এখনো পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার মানুষ মারা গেছে।

ইসরাইলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১৪০০ জন নিহত হয়। এছাড়া আরো দুই শতাধিক মানুষকে গাজায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com