যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলের শক্তি ক্রমশ বাড়ছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত অন্তত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বহু মানুষ আহত। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে আহত হচ্ছেন। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অসংখ্য বাড়ি ঘর পুড়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের শেরিফ রবার্ট লুনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘প্রার্থনা করছি, আর যাতে কারো প্রাণ না যায়। কিন্তু পরিস্থিতি তেমন নয়। আরো প্রাণহানির আশঙ্কা আছে।’
বহু মানুষ এখনো আগুনে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগুনের কারণে পরিত্যক্ত বাড়িতে ঢুকে তারা চুরি করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান অ্যান্টনি ম্যারোনি জানিয়েছেন, প্যালিসেডের বিত্তশালী অঞ্চলে অন্তত এক হাজার বাড়ি ইতোমধ্যেই আগুনে পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার একরেরও বেশি এলাকা এখন আগুনের কবলে। বস্তুত, লস অ্যাঞ্জেলেসের অন্তত চারটি অঞ্চলে আলাদা আলাদা করে আগুন লেগেছে। এবং প্রতিটি আগুনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে।
শেরিফ রবার্ট জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো দমকলকর্মী লস অ্যঞ্জেলেসে নেই।
এদিকে প্যালিসেড অঞ্চলে বহু হলিউড স্টারের বাড়ি। বেন অ্যাফলেক, টম হ্যাঙ্কস, ম্যান্ডি মুররা এখানে থাকেন। মুরকে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। মার্ক হামিল এবং জেমস উডকেও বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বাড়িও সেখানে। তাকেও বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে হ্যারিস এখন লস অ্যাঞ্জেলেসে নেই।
সূত্র : ডয়চে ভেলে এবং অন্যান্য