জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতের এমন আদেশে স্থগিত হলো নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জায়েদ খানের করা আপিলের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের এ রায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছি। কিন্তু বেআইনি চিঠির ভিত্তিতে আমাকে আপিল বোর্ড বাদ দিয়ে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করেছে।
এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। এমনকি এই পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কী না- সে বিষয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাদ করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
তারই প্রেক্ষিতে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।