রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের নাম আরিফুল ইসলাম (৩০)।
শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা পুলিশ।
লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট ও বিয়ের কাবিন নামা উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশের পাশ থেকে উদ্ধার চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার জীবনের শান্তি নষ্ট করে দিছে এই রেপিস্ট। ব্লাকমেইলার সে। তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিছে। নিজের হাতে এই রেপিস্ট ব্লাকমেইলারকে মেরে শাস্তি দিলাম।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা জানান, শনিবার বিকালে খবর পেয়ে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, নিহতের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। তার বাবার নাম শাজাহান শিকদার।
বাড্ডা থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাটারা থানাধীন একটি আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের দুই নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসায় অবস্থিত মাটি প্রপার্টিস অ্যাপার্টমেন্টে দেশি-বিদেশি নাগরিকেরা অনলাইনে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত ১৭ মে আরিফুল ইসলাম ও পারভীন আক্তার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দ্বিতীয় তলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে সাত দিনের পেমেন্ট করে ভাড়া নেয়। শনিবার মাটি প্রপাটির্স থেকে ফোন করে পুলিশকে জানায় দোতালার অ্যাপার্টমেন্টে একজন পুরুষের লাশ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশের বাড্ডা জোনের এডিসি, এসি ও থানা পুলিশ সিআইডি ক্রাইমসিন ঘটনাস্থলে যায়। সিআইডি ক্রাইমসিন পর্যবেক্ষণ করে জানায়, লাশের বুকে ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই অ্যাপার্টমেন্টের সিসি টিভি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, ১৮ মে ভোর ৬.৩১ মিনিটে পারভীন আক্তার বাসা থেকে একা বেরিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আরিফুল জাপানে থাকতেন। সেখানে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। তার স্ত্রী পারভীন আক্তারও কানাডায় থাকেন। কানাডা থেকে এসে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ফের কানাডা চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।