মিসর ও জর্ডানে অবস্থানরত নাগরিকদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। সেইসাথে আঞ্চলিক অন্য দেশগুলোতেও ভ্রমণ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাজাযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এ নির্দেশ দিলো ইসরাইল সরকার।
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মিসর (সিনাই উপত্যকাসহ) ও জর্ডানে ভ্রমণের বিষয়ে নিরাপত্তা সতর্কতা-৪ (উচ্চ ঝুঁকি) জারি করেছে। বলা হয়েছে, ইসরাইলি নাগরিকরা যেন ওইসব দেশে আর না থাকে অর্থাৎ যত দ্রুত সম্ভব সেসব দেশ যেন ত্যাগ করে।
সেইসাথে মরক্কোর ব্যাপারেও ৩ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাগরিকদের বলা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ মরক্কো না যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইসরাইলিদের প্রতি ক্রমবর্ধমান ক্রোধের কারণে তারা আক্রমণের শিকার হতে পারেন। তাই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে বিমান হামলা চালানোর মাঝেই স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
অপরদিকে, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের মতো ইসরাইলি।
ইসরাইলকে অবিলম্বে ‘গণহত্যা’ বন্ধ করতে হবে : এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় তিনি ইসরাইলকে এই আহ্বান জানান।
এরদোগান বলেন, পশ্চিমা শক্তি ও গণমাধ্যমের মদদপুষ্ট ‘উন্মাদনা’ থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসরাইল গাজায় আক্রমণ করার মতো ভুল থেকে ফিরে আসার পরিবর্তে আরো অঞ্চলে হামলার জন্য উসকানি দিচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি ইসরাইলি নেতৃত্বের প্রতি আমার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি, তারা যেন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার পরিধি না বাড়ায় এবং অবিলম্বে গণহত্যার মতো অভিযান বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
সূত্র : আলজাজিরা