রমজান মাস এলেই হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নলছিটির বাজার গুলোতে বিক্রির ধুম চলছে। মুসলমানদের রোজার ইফতারির অন্যান্য উপকরণের পাশাপাশি মুড়ির চাহিদা ব্যাপক। ধনী গরিব সবার মাঝেই জনপ্রিয় এটি। রমজান মাসে রোজায় মুড়ির চাহিদা বেড়ে যায় অনেক গুন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মুড়িপল্লির কারিগররা বরাবরের মত এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মুড়ি ভাজার কাজে। উপজেলার দপদপিয়া, নাচনমহল, ভরৎকাঠি, সরই গ্রামে প্রায় শত পরিবার হাতে ভাজা মুড়ির কাজে জরিত। শুধু এখানেই নয়, সারাদেশেই হাতে ভাজা মুড়ির কদর রয়েছে। রাসায়নিক সার না মিশিয়ে হাতে ভাজা মুড়ি সুস্বাদু ও স্ব্যাস্থকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক গুন বেশি। তাই নলছিটির বাজার ও দোকান গুলোতে মুড়ির ক্রেতাদের আনাগোনা বেশ চোখে পরার মত।
মুড়ি কিনতে আসা নান্নু হোসেন জানান, রমজান মাসে ইফতারিতে আমাদের মুড়ির প্রয়োজন খুব বেশি। এটি ছোলা ভুটের সঙ্গে মিলিয়ে খেতে খুব সুস্বাদু। হাতে ভাজা মুড়ি হলে তার স্বাদ অনেক বেশি। আমি বাজার থেকে একশত টাকা কেজি ধরে কিছু পরিমাণ মুড়ি কিনেছি পরিবারের জন্য।
সরই গ্রামের বাসিন্দা মুড়ি বিক্রেতা কৃষ্ণ জানান, আমরা নিজেরা খুব সকালে উঠে মুড়ি বাজা শুরু করি পরে বিক্রির জন্য বাজের নিয়ে আসি। রমজান মাস উপলক্ষ্যে বাজারে হাতে বাজা মুড়ির চাহিদা খুব বেশি। শবে বরাতের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই মনের অধিক মুড়ি বিক্রি করে থাকি।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা নাহিদ জানান, মুড়ি ভাজা ও বিক্রয়ের ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রয়োজনে যেকোনো সহযোগীতা করার চেষ্টা করা হবে।