রবিবার, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্যে এলে বেঞ্চের জুনিয়র/কনিষ্ঠ বিচারপতি বিব্রত প্রকাশ করেন।

পরে রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছেন ওই বেঞ্চ।

বেঞ্চের বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ বিষয়টি শুনানি করতে বিব্রত প্রকাশ করে বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি সে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তিনি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। একপর্যায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

এম এ আজিজ খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ব্রিবত প্রকাশ করেছেন। রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধান বিচারপতি যে বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠাবেন, সেই বেঞ্চে শুনানি হবে।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

সে রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদি করা হয়।

রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী মো: সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিট করার পর আইনজীবী এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে।

রিট দায়ের করার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই ঠিকমতো হলে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না। কারণ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন।

দুদক আইন ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‌‌‌মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ করা হয়নি। তার এ বক্তব্য সঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com