শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেছেন, পাঠ্য বইয়ে কোনো ভুল থাকা উচিত না। তারপরও নতুন কারিকুলামের পাঠ্য বইয়ে কিছু ভুল রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে কমিটি করা হয়েছে। এরপরও নতুন কারিকুলাম নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব অপপ্রচারে কান দেয়া যাবে না। যারা নতুন কারিকুলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশ ধ্বংস করতে চায় ওইসব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার যশোরে ৫১তম জাতীয় স্কুল মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খেলাধূলার মাধ্যমে দলগতভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। যার মাধ্যমে মানবিকতা ও দেশপ্রেম তৈরি হয়। এগুলো অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। ক্রীড়ায় তার অবদান ছিল অপরিসীম। এ কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ক্রীড়ায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন।
দীপু মনি বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন কারিকুলাম নিয়ে একটি গোষ্ঠী অনেক ষড়যন্ত্র করছে। শুরু থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. ওমর ফারুক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ব্যবস্থাপনায় থাকা যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর আহসান হাবীব।
জানা গেছে, সকাল ১১টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ছয় দিনব্যাপী আসরের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রতিযোগিতায় চারটি অঞ্চল অংশ নিয়েছে। অঞ্চলগুলো হচ্ছে গোলাপ, পদ্ম, বকুল ও চাঁপা। এর আগে জাতীয় ও ক্রীড়াসহ অঞ্চলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রথম দিন ক্রীড়াবিদদের শপথ পাঠ ও মশাল প্রদক্ষিণের আয়োজন করেন আয়োজকরা। মাঠের লড়াই শুরু হবে শুক্রবার থেকে।