বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধু ইহকালই নয়, পরকালীন জীবনের জন্যও শপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলে কারিম সা:-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। বাইয়াত শুধু খণ্ডকালীন নয়, এটি আজীবনের জন্য। জীবনের শুরু থেকেই দ্বীনের ওপর চলতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়।
শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে শপথবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কর্মীদের নিয়ে ‘শিক্ষা শিবির’ শিরোনামে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দের পরিচালিত অনুষ্ঠানে ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, আমাদেরকে দ্বীনি পরিবার গঠনে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। হালাল উপায়ে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। সমাজে সঙ্গী-সাথী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামকে প্রাধান্য দিতে হবে। সমাজ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি উৎখাত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটির জন্য মহান মাবুদের কাছে একে অপরের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। গোটা দেশবাসীকে নিজের পরিবার মনে করে সবাইকে নিয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে। ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তি লাভের জন্য ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘আসুন, আমরা নিজেদেরকে আল্লাহ তাআলার একজন প্রিয় বান্দা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করি এবং শপথবদ্ধ জীবন গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই।’ মাওলানা এটিএম মা’ছুমের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
পরিশেষে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।