ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যসংগ্রহসহ দেশজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনার সময় আনুমানিক সংখ্যার চেয়ে বেশি ভোটার তালিকাভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই হবে সম্ভাব্য ভোটারদের জন্য শেষ নিবন্ধন প্রক্রিয়া। নির্বাচনী তালিকা আইন ২০০৯ অনুসরণ করে চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চারটি ধাপে হালনাগাদ সম্পন্ন করতে ইসির গণনাকারীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অগ্রগতির হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বলে জানিয়েছে কমিশন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, হালনাগাদ কর্মসূচিতে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ জন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, যা আনুমানিক সংখ্যার চেয়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৩ বেশি। ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার তিনজন নারী, ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭১৬ জন পুরুষ ও ২৫১ জন তৃতীয় লিঙ্গের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভোটার তালিকা থেকে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৩২১ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
ইসি ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি এবং ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। ১৮ বছর সম্পন্ন হলে এই ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
আগামী বছরের ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসে ভোটারদের চূড়ান্ত ও হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির পর থেকে এপর্যন্ত পাঁচবার হালনাগাদ করা হয়েছে ভোটার তালিকা।
নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪৫৪ জন।
সূত্র : ইউএনবি