বাংলাদেশে আদমশুমারির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংখ্যায় পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১১ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
দেশে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।
এর আগে ২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ব্যাপক পরিসরে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সারা দেশে ষষ্ঠ আদমশুমারি পরিচালিত হয়েছিল। আদমশুমারি জনসংখ্যার সামগ্রিক ধারণা, এর গঠন, কর্মশক্তি, ঘনত্ব, আবাসন ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকগুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করে। যা অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নীতি সঠিকভাবে প্রণয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।