বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের ওপর দেশি-বিদেশি চাপে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে বর্তমান সরকার।’ আজ রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার পানিতে হাবুডুবু খেতে খেতে এখন জনগণকে নানা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৪ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজের গোষ্ঠীস্বার্থে এক নজিরবিহীন স্বৈরাচারি মডেল তৈরি করেছেন। আর এজন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে, দেশের স্বাধীন অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতেও তিনি দ্বিধা করেননি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সুশাসন, জনগণের নিরাপত্তাকে চরমভাবে পদদলিত করা হয়েছে গুম-খুনের সংস্কৃতির বিস্তার ঘটিয়ে। ব্যাংক লুট, টাকা পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারী ও ঋণ খেলাপিদের দিয়ে ক্ষমতাসীন বলয় তৈরি করা হয়েছে। এরাই বর্তমানে আইন, প্রশাসন, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।’
বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, ‘বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচন করে যারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জবরদখল করে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নেয়, সেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা কি অন্যায়?’ তিনি বলেন, ‘দস্যুদল যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করা ন্যায্য এবং ন্যায় সঙ্গত। আর এই সংগ্রামে যে সমর্থন দেবেন, সেই জনগণের বন্ধু।’
‘বাংলাদেশের জনগণ নিরাপত্তাহীন ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে’ দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন ও পরিচালনায় তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার হরণ করে। নাগরিক হিসেবে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং, জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘আগামী ১২ই জুলাই বুধবার নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ এই সমাবেশ সফল করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।