দেখলাম বাংলা চলচিত্র সুড়ঙ্গ। ময়না নামের নারী চরিত্র আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করেছে। সহজ সরল এই ময়নার লোভ আর অসসহনশীলতা তাকে শেষ যে পরণতি দিয়েছে তা সত্যি যেমন কর্ম তেমন ফলের দৃষ্টান্ত। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশের ফল ভোগ করতে হয়েছে মাসুদকে। যা সত্যি দুঃখজনক। কেননা মাসুদের মতো একটা ভালো মনের ছেলের জীবনটা সাজানো গোছানো সুন্দর হতে পারতো।
বিশ্বাসঘাতক মাসুদের বন্ধু সুযোগ হাতছাড়া করেনি। মাসুদের হাতে তার মৃত্যু এটাই অন্যের অমঙ্গল যে করে চিন্তন নিজের অমঙ্গল বীজ করে সে বপন।
সমাজে সহজ সরল বোকা সেই সাথে লোভি যারা ময়না চরিত্রটি তার দৃষ্টান্ত। সে একবার এই স্বামী আরেকবার সেই স্বামী।একজন জামাই আরেকজন হাসবেন্ড দুজনকে নিয়ে নিজের স্বার্থের যে খেলা খেলেছে। তা দেখতে নারী চরিত্রের উপর নিজে নারী হয়ে আমার লজ্জাই লাগছিল। টাকা যার কাছে সবকিছু , প্রেম ভালোবাসা সংসারের কোন মূল্য তার কাছে নেই।যেখানে টাকা সেখানে ময়না। তীব্র নিন্দা জানাই ময়না চরিত্রের নারীদের প্রতি নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধ গ্রামের সহজ সরল বোকা নারীদের থাকে।
যারা স্বামীর সংসারকে মসজিদ মনে করে সেখানেই সেজদা দেয়।এমন নারী যারা পান তারা ভাগ্যবান পুরুষ। সিনেমাটা কাল্পনিক হলেও আমাদের দেশের অনেক প্রবাসী ভাইদের জীবনে অনেক করুন পরিণতি বাস্তবে ঘটে। বাবা মা স্ত্রীকে বিশ্বাস করে তারা পথের ফকির হন। তার টাকায় বানানো বাড়ির দরজা তার লোকেরা খোলে না। যারা প্রতারক তারা চোখ উল্টে ফেলে নাম বদলে ফেলে। তাদের কোনটা বুক আর কোনটা পিঠ তা বোঝা খুব দূরুহ বিষয়।
সিনেমাটি শিক্ষামূলক প্রকৃতির বিচার সবসময় ভয়াবহ। তবে ন্যায় নীতি সততা আমাদের আমাদের চরিত্রের অলংকার। সবাই এই অলংকার ধারণ করার যোগ্যতা রাখে না। ময়না ছিল সেই দৃষ্টান্ত। ময়নার কারনে ময়নার পরিবার হয়েছিল মাসুদের কাছে লজ্জিত। দৃশ্যটা খুব করুন লেগেছে আমার কাছে। মানুষ কখনোই একা না মানুষ সামাজিক জীব চারপাশের পরিবার, সমাজ,দেশ পৃথিবীর অংশ। ময়নার মতো একটা মেয়েকে জীবন সঙ্গী করে মাসুদ হয় ব্যাংক ডাকাত খুনের আসামি। আবারো সেই কথা সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
মেহবুবা হক রুমা
(কবি ও লেখক)
২৬/৭/২৩