সই জাল করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিআরডিবি অফিসের সাবেক হিসাবরক্ষক লিটু গুপ্তকে পৃথক ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লিটু গুপ্ত গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের জাঠিয়া গ্রামের মনতোষ গুপ্তের ছেলে।
এর মধ্যে একটি ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেন আদালত। অপর একটি ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তবে উভয়দণ্ড একইসঙ্গে ভোগ করতে হবে আসামিকে।রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন লিটু গুপ্ত। দণ্ডাদেশের পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, ‘লিটু গুপ্ত ২০১৮ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিআরডিবি অফিসের হিসাব রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। একই বছরের ১১ ও ১২ এপ্রিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউবিসিসির সভাপতির সাক্ষর জাল করে দুটি চেকের মাধ্যমে পল্লী জীবীকায়ণ প্রকল্প-২ এর ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
এই ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হিসাব রক্ষক লিটু গুপ্তকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ওই দণ্ডাদেশ দেন।