শুক্রবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

দুর্দশায় আফগানরা, চা-বিস্কুট খেয়ে রাখছেন রোজা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৫২ বার পঠিত

ভঙ্গুর অর্থনীতিতে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তানের করুণ চিত্র ফের প্রকাশ্যে এলো। দেশটির পরিবারগুলো তিনবেলা খাবার জোটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তাই নিরুপায় হয়েই পবিত্র রমজান মাসে রুটি ও চা খেয়ে রোজা রাখছেন। খবর আরব নিউজের।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দেশটিতে জীবনযাপন ও খাবারের মূল্য আকাশচুম্বী। এর মধ্যে দেশটির বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক আফগানরা চাকরি হারিয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনসংখ্যার অন্তত ৭০ শতাংশ এখন বেঁচে থাকার জন্য ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের ত্রাণ কর্মসূচি দেশটি থেকে গুঁটিয়ে নিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী যখন মুসলিমরা নানা আয়োজনের মাধ্যেম পবিত্র রমজান মাস পালন শুরু করেছে, সেখানে আফগানরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার জোটানোর চিন্তায় দিন গুনছে।

দেশটির সাবেক এক নারী অধিকারকর্মী ও কাবুলে কিন্ডার্গাটেনের প্রধান শামসিয়া হাসানজাদা আরব নিউজকে বলেন, ‘অতীতে আমরা ইফতার ও সেহরি শুধু আমাদের জন্য বানাতাম না, নিরাপত্তাকর্মীদের জন্যও বানাতাম যারা আমাদের আশেপাশেই থাকতো, কিন্তু এখন আমাদের কিছুই নেই। যা আছে তা হলো গ্রিন টি আর শুকনো রুটি।’

তিনি আরও বলেন, আমিসহ আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজনই কাজ করত আগে, কিন্তু এখন মাত্র একজন কাজ করে। সেই আয়ে আমাদের সংসার ঠিকমত চলে না।

কাবুলের এক বাসিন্দা মোহাম্মদ নাঈম। তিনি তালেবান সরকারের আগে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চালক হিসেবে কাজ করতেন। নাঈম বলেছেন, বিশ্বাস করেন, গত দুইবছরে আমি আমার জন্য এক টুকরো কাপড় বানাইনি। এর কারণ হিসেবে তিনি নিজের সংসারে অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা জানান।

৭১ বছর বয়সী নাঈম জানান, গত কয়েক মাস থেকে তিনি কোনো পেনশন পাননি।

‘অতীতে ইফতার ও সেহরিতে আমার পরিবারে নানা ধরনের খাবার থাকত, কিন্তু এখন কোনো খাবারেই নেই। আমি যদি মাংস খাইতে চাই তাহলে সেটা কোনো দাতব্য সংস্থার হবে, কিন্তু আমি আমার পরিবারের জন্য কেনার মতো সামর্থ্য নাই’, বলেন মোহাম্মদ নাঈম।

আরেক নারী অধিকারকর্মী কারিশমা নাজারি বলেন, সারাদিন রোজা রেখে এরপর ইফতারে ও সেহরিতে কিছু না খাওয়া আমার এবং বেশিরভাগ আফগান পরিবারের জন্য অনেক কষ্টকর। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগেরই গ্রিন টি ছাড়া খাবার মতো কিছুই নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com