বিনা নোটিশে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী দুদক কর্মকর্তা শরীফকে চাকরিচ্যুত করা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একইসঙ্গে স্বপদে পুনর্বহাল করে তাকে কেন সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল এ রুল শুনানির দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে সরকারি-বেসরকারি সব চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হলে নিজস্ব আইনের পাশাপাশি ১২টি নতুন নির্দেশনা মানতে হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গতবছরের ২০ ডিসেম্বর দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরিচ্যুতি বৈধ জানিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ৪৭ পাতার এ চূড়ান্ত রায় লিখেছেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি।
এদিকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদকের বিধিটি বহাল থাকছে। দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে, কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়া কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায়। বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিধিটি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। একইসঙ্গে বিধিটি নিয়ে দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দিনের করা রিটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ে বিধিটি বৈধতা পেল। বিধিটি বহাল থাকছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে ‘
বিধিটির ক্ষমতাবলে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক। এরপর ৫৪ (২) বিধি ও বিধিটির ক্ষমতাবলে চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে শরীফ গত বছর হাইকোর্টে রিট করেন।
উল্লেখ্য, দুদক কর্মকর্তা ডা. শরীফ উদ্দিন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।