শনিবার, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

দুঃখ হয়ে ফিরে এলো নুসরাত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৪ বার পঠিত

ফেনীর সোনাগাজীতে চাঞ্চল্যকর নুসরাত হত্যামামলাটি নতুন দুঃখ হয়ে ফিরে এলো। তার প্রাণ যাওয়ার পর সমাজ ও রাষ্ট্রের একেবারে উপরের পর্যায় থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করা হয়। দেশের চলমান অনিয়ম-দুর্নীতির জোয়ারের মধ্যেও তাই আশা করা হয়েছিল- আইন আদালত সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে এর ফায়সালা করবে। বিগত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এর উচিত বিচার হয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে এমনটিই মনে হয়েছিল। বাস্তব অবস্থা দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। মামলাটি নিয়ে মানুষ এখন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। পুনঃতদন্ত চাচ্ছে। অপরদিকে কর্তৃপক্ষ অপরাপর ঘটনার মতো চুপ থেকেই পরিস্থিতি উতরাতে চাইছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সোনাগাজীতে এ হত্যার পুলিশি তদন্ত নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের রেশ এখনো সেখানে রয়েছে। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে বাংলাদেশের বিচার প্রশাসন ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ হলেও চাঞ্চল্যকর সামাজিক অপরাধের তদন্ত ও বিচারে বড় ধরনের বিচ্যুতির নজির নেই। কিছু বিচার ফায়সালা নিয়ে অসন্তুষ্টি ও কিছুটা বিতর্ক উঠলেও মামলার রায় পরবর্তী বিপুল মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়েছেন এমন দেখা যায়নি। নুসরাত-বিষয়ক মামলাটি সে ক্ষেত্রে জাতির সামনে এক বিস্ময় নিয়ে হাজির হয়েছে। এতে আরো বিস্ময়কর হচ্ছে- ক্ষমতাসীন অওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। তারা দাবি করছেন, তারা নিজেরাও অবিচার ও চরম নির্যাতন-বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীল পর্যায়ের লোকেরা অবিচারের শিকার হবেন, এমন কল্পনাও করা যায় না।

এ মামলার আরেকটি নজরকাড়া দিক ছিল, মিডিয়ার ব্যাপক ‘দায়িত্বপূর্ণ’ অবস্থান। নুসরাত হত্যার পর একে নারী নির্যাতনের একটি বিশুদ্ধ কাহিনী হিসেবে বিপুল প্রচার তারা করেছে। ঘটনার পরপর যে হাইপ উঠেছিল সেই তালেই মিডিয়া চলেছে। এ মামলার যথাযথ বিচারের জন্য পুলিশের বিশেষায়িত শাখা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর মামলার তদন্তের ভার পড়ে। মামলার দৃশ্যত দ্রুত তদন্ত এগোতে থাকে। বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রগতি, মিডিয়া অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পিবিআইয়ের মুখপাত্রের বরাতে খবর ছাপতে থাকে। পিবিআই ১৬ জনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। মিডিয়া এ খবর আগ্রহ নিয়ে হুবহু ছেপেছে। নিজেরা কোনো ধরনের অনুসন্ধান চালানোর প্রয়োজন মনে করেনি।

এদিকে ৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতৃত্বে সোনাগাজীতে বিক্ষোভ থেকে সম্পূর্ণ নতুন খবর পাওয়া যচ্ছে। এসব খবর আগে কেন প্রকাশ পায়নি কিংবা তারা কেন আগে এসব নিয়ে বিক্ষোভ করেনি সেই প্রশ্নের উত্তরও তারা দিয়েছে। তবে তাদের বিক্ষোভের খবরটি এবার এড়িয়ে গেল উৎসাহী, মূলধারার মিডিয়া। নিচের সারির কিছু মিডিয়ায় বিক্ষোভের খবরটি এসেছে। এতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম সারির মিডিয়া কেন এবার খবর দিতে আগ্রহ পেল না সেটি এক রহস্য। বিক্ষোভকারীরা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করছে তা গুরুতর।

নিচের সারির এসব মিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে দেখা যাচ্ছে- বিক্ষুব্ধ মানুষ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা জানাচ্ছেন, তারা অবিচারের শিকার হয়েছেন। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে পরিবারগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী কী নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে তা তুলে ধরেছে। একজনের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা গেল ‘পিবিআইয়ের নিষ্ঠুরতম নির্যাতনে আমার ছেলে রানা প্রায় বিকলাঙ্গের পথে কেন?’ আরেকজনের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা হয়েছে, ‘পিবিআইয়ের নিষ্ঠুরতম নির্যাতনে আমার ছেলে জাবেদ প্রায় বিকলাঙ্গের পথে কেন?’ আরেকটিতে রয়েছে, ‘পিবিআইয়ের নির্যাতনে আমার ছেলে সাহাদাত হোসেন শামীম বিকলাঙ্গের পথে কেন?’ আরো রয়েছে, ‘আমার মেয়ে পপিকে বিবস্ত্র করে যৌন হেনস্তার মাধ্যমে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে পিবিআই।’ ‘আমার ছেলে ইমরান হোসেন মামুনের দেয়া রক্ত শরীরে নিয়ে নুসরাত মৃত্যুবরণ করল আমার ছেলে আজ ফাঁসির আসামি!’ ‘নিরপরাধ মানুষকে অপরাধী বানানোর সহজ মেশিনের নাম পিবিআইয়ের রিমান্ড।’ একই ধরনের নিষ্ঠুর নির্যাতন-নিপীড়নের কথা আরো বিভিন্ন ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওই বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির হয়েছেন। তাদের কাছে থাকা প্রধান ব্যানারটিতে লেখা রয়েছে- ‘সিসিটিভি ফুটেজ, নুসরাতের আত্মহত্যাসংবলিত এসএমএস গায়েব করে বোরকা নাটক সাজিয়ে আত্মহত্যাকে হত্যায় রূপান্তরিতকারী বনজ কুমারের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন। আয়োজনে সোনাগাজীর সর্বস্তরের সচেতন জনগণ।’ পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরো বেশ কয়েকটি প্ল্যাকার্ড দেখা গেল।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল- এসব অভিযোগ আপনারা আগে কেন করেননি? কিংবা আপনারা এ জঘন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আগে কেন সংঘটিত করেননি? এ প্রশ্নগুলোর যেসব উত্তর তারা দিয়েছেন তার মাধ্যমে রাষ্ট্র্রের বিরুদ্ধে আরো গুরুতর ও নাজুক অভিযোগ সামনে আসে। তাদের পক্ষ থেকে প্রথম প্রশ্নটির উত্তর ছিল- ‘তাদের বুকফাটা আর্তনাদ চার বছর কেউ শুনেনি।’ তারা জানান, ওই সময়ে নুসরাত হত্যার এলাকা ও সংশ্লিষ্ট আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে। নতুন কাহিনী সাজানো হয়েছে বোরকাকাণ্ড ঘটিয়ে। তাদের ভাষায়- বোরকাগুলো পাশের জলাশয়ে রেখে পরে উদ্ধার করা হয়। এ কাজটি তদন্তকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা করেছে বলে তাদের অভিযোগ। এর ফুটেজও রয়েছে। এর বাইরে অনেকের কাছে থাকা অডিও রেকর্ড, এসএমএস গায়েব করা হয়েছে যাতে মামলার মোটিভ বদলে দেয়া যায়। মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে পিবিআই অর্থ আদায় করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে, কেউ টুঁ শব্দটি করতে পারেনি। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তরে তারা বলেছেন- তারা আগেও বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পিবিআইয়ের বাধায় সেটি তারা করতে পারেননি।

নুসরাত ‘হত্যা’ বিচার ঘটনায় বিক্ষোভের আরেকটি বিস্ময়কর দিক হচ্ছে- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী একটি অংশ নিজেদের এ মামলার ভুক্তভোগী বা শিকার হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও দলটির নেতা মাকসুদ আলমের ছেলে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন, ‘পিবিআই কর্মকর্তা শাহ আলম রিমান্ডে আমার বাবাকে বর্বর নির্যাতন করে বনজ কুমারের কথা বলে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে ৪০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। টাকা আদায়ের যাবতীয় প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।’ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল আরেফিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কমিশনার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দিন নয়ন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কমিশনার ও যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন। এ ছাড়া দলটির বহুসংখ্যক নেতাকর্মী এ বিক্ষোভে অংশ নেন। ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত নেতারা এভাবে একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে কি নিজের সরকারকে বিব্রত করে বিপদগ্রস্ত করতে চান, না এর একটি সারবত্তা রয়েছে? জাতির সামনে সেই প্রশ্ন নিয়ে বিক্ষোভটি হাজির রয়েছে। তদন্ত করে সরকার ঘটনা উদ্ঘাটন করলেই বিষয়টি পূর্ণ খোলাসা হবে।

রিমান্ডে বৈদ্যুতিক শক, ড্রিল মেশিন দিয়ে পা ছিদ্র করে ও নারী আসামিদের বিবস্ত্র করে যৌন হয়রানির মাধ্যমে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে; রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের নির্যাতন চালিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা গুরুতর অভিযোগ আনেন। পিবিআইয়ের পাশাপাশি মিডিয়াকেও সরাসরি দায়ী করেছেন তারা। আসামিরা জবানবন্দী দেয়ার আগেই তারা দোষ স্বীকার করেছেন বলে গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। ঢাকায় বসেই এ কাজ হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। মিডিয়ার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ হচ্ছে- পিবিআইয়ের সরবরাহ করা এসব তথ্য তারা যাচাই করেও দেখেনি। হুবহু ছেপে দিয়েছে। মামলাকে উছিলা করে যখন চাঁদাবাজি, নির্যাতন-নিপীড়নের খবর মিডিয়াকে দিয়েছে, কোনো মিডিয়া এ নিয়ে সামান্য খোঁজখবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। একটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব প্রতিবেশী কোনো দেশ কিংবা বাইরের কোনো শক্তির খর্ব করার প্রয়োজন পড়ে না। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ সত্য হলে স্বাধীন রাষ্ট্রের ভেতরে এমন পরাধীন নাগরিক শ্রেণীর জন্ম হতে পারে যাদের অত্যাচার-নিপীড়ন উৎখাত হওয়া রোধ করার আর কোনো কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট থাকে না।

কাউকে বিদ্যুতিক শক দিলে কিংবা ড্রিল করে পা ফুটো করে দিলে তদন্ত করে এর সত্যতা সহজেই নির্ণয় করা যায়। যৌন হয়রানি বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ করা আজকাল কঠিন কিছু নয়। জিম্মি করে টাকা আদায় করলে তার রসিদ কিংবা ব্যাংকের লেনদেনের হিসাব মুহূর্তে জানা সম্ভব। হুমকি ধমকি দেয়ার অডিও রেকর্ড অনেকের কাছে রক্ষিত থাকতে পারে। সরকার এগুলোর সত্যতা সহজে যাচাই করতে পারে। বোরকা আবিষ্কার-সংক্রান্ত অভিযোগ ও তার পক্ষে ভিডিওফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দাবি- একটি নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত কমিশন গঠন। মামলাটির পুনঃতদন্ত করে ন্যায়বিচারের আকুতি জানান তারা।

বাংলাদেশে বিচার প্রাপ্তি নিয়ে মানুষের আস্থা এখন তলানিতে। শুধু বিরোধীদের দমাতে গিয়ে বিচার পাওয়ার সার্বিক অবস্থার এই গুরুতর অবনতি হয়েছে। নিম্ন আদালতে যে রায় হয়েছে তাতে কোনো অপূর্ণতা থাকলে আপিলে সে ঘাটতি পুষিয়ে দেয়া যেতে পারে। বিজ্ঞ বিচারকরা সেটি দেখবেন। প্রশ্ন হচ্ছে- তদন্তকারী পুলিশি সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর যেসব অভিযোগ উঠেছে তার সুরাহার কি প্রয়োজন নেই? একটি মাত্র মামলার তদন্ত নিয়ে এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এ ধরনের একটি অভিযোগ উঠলেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশের একেবারে উচ্চ মহল থেকে বিবৃতি দেয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র থাকলে তাৎক্ষণিক এমন ব্যবস্থা নেয়া হতো যাতে ভুক্তভোগীরা ও দেশবাসী আস্থা ফিরে পেতে পারে। বাংলাদেশেও পুলিশি কার্যক্রমের ত্রæটি-বিচ্যুতির কারণে জবাবদিহিতা আমরা দেখেছি। সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ অনেক সময় দুঃখ প্রকাশ করেছে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে। এখন সেটি উঠে গেছে কি না, সাধারণ মানুষের সামনে সেটিই প্রশ্ন।

বর্তমান সরকারের সময় একটি অপকৌশল আমরা দেখে আসছি। অভিযোগ উঠলে সরকার নীরব হয়ে থাকে। স্রেফ নীরবতা অবলম্বন করে অভিযোগ এড়িয়ে পার পেয়ে যেতে চায় তারা; যদিও বাস্তবে বা দীর্ঘমেয়াদে আসলে সরকার কোনো অভিযোগ থেকে পার পাচ্ছে না। সোনাগাজীর ঘটনায় অভিযোগকারী ব্যক্তিরা যদি হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। যে ব্যক্তি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগ করেছে সে ব্যক্তিকে ধরে প্রমাণ করে দিন, ঘুষ নেয়া হয়নি। প্রমাণ করে দিন, ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে একটি পক্ষের হয়ে বিচারকার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ অভিযোগ তিনি করেছেন। একইভাবে কয়েক ডজন লোক যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলো ভুল প্রমাণ করুন। শেষ না হওয়া নীরবতা অবলম্বন উত্থাপিত অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো ফলপ্রসূ পদ্ধতি নয়। এর নেতিবাচক পরিণতি আরো নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com