উপকূল জুড়ে বৃষ্টি, পূর্ণিমার জোঁ আর বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। আজ সোমবার ভোর থেকে গোটা জেলায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। প্রায় দুই’শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলায় সহস্রাধিক ট্রলার মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-ঢোস, মৌডুবি, রাঙ্গাবালীসহ স্ব-স্ব ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছছে।
ঊচ্চ জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ২-৩ ফুট পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে অর্ধশত চর ও নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামে। অব্যাহত বৃষ্টি আর উচ্চ জোয়ারে শহর রক্ষাবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের কলেজ রোড, মহিলা কলেজ রোড, পুরান বাজার, আদালত পাড়া, চরপাড়া, নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু এলাকা। তলিয়ে গেছে আমনের ক্ষেতসহ বহু রাস্তাঘাট ঘর-বাড়ী, পুকুর ও মাছের ঘের। এতে ভোগান্তিতে পরেছে খেটে খাওয়া মানুষ।
খেপুপাড়া রাডার স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৮০.৪ মিলিমিটার ও সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য বন্দর সমবায় সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারনে গভীর সাগরে মাছ ধরারত বেশীরভাগ ট্রালরই ঘাটে নোঙর করেছে।