বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারেক রহমান ‘দমনমূলক শাসন’ হিসেবে অভিহিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক শাসনের লড়াই এবং বাংলাদেশের দশকব্যাপী লড়াইয়ের মধ্যে মিল খুঁজে পান।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা দক্ষিণ কোরিয়ার সাহসী জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
রাজনৈতিক নিপীড়ন মোকাবেলার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রহমান লিখেছেন, বাংলাদেশে, আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি দমনমূলক শাসন সহ্য করেছি, নিপীড়ন মোকাবেলার জন্য ব্যথা সইতে হয়, যে পরিমাণ ধৈর্য ও দৃঢ়সংকল্প দরকার হয়, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করতে পারি।’
রহমান নির্বাচিত সরকার কর্তৃক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের সমালোচনা করেন এবং এটিকে উভয় দেশের জন্য একে একটি অভিন্ন চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয় জাতিই নির্বাচিত সরকারের নিজেদের উদ্দেশে গণতান্ত্রিক ফাঁকফোকরকে কাজে লাগানোর বিপদ সম্পর্কে জানি।’
তিনি উভয় দেশে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্যে একটি দৃঢ়সংকল্প জনগণের অদম্য শক্তির ওপর জোর দেন।
ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের হুমকি এড়াতে রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রহমান বলেন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা আমাদের জনগণের অধিকার রক্ষা করতে পারি এবং একটি ন্যায় ও মুক্ত সমাজ নিশ্চিত করতে পারি।
বিএনপি নেতা বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ভিন্নমত দমন এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ক্ষুণ্ণ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
তারেক রহমানের বার্তা গণতান্ত্রিক নীতি সংরক্ষণের জন্য প্রচেষ্টাকারী দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সংহতির বৃহত্তর আহ্বানেরও ইঙ্গিত দেয়। #Democracy, #Bangladesh, I #SouthKorea-‘র মতো হ্যাশট্যাগসহ তার বিবৃতি বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতন্ত্রপন্থী সংগ্রাম, যা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের সমর্থকদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং আশার একটি মর্মস্পর্শী অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।
সূত্র : বাসস