ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১০ জেলায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বাপেক্স)। এই জরিপ কাজে ব্যয় হবে ২৬৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদন হলে আগামী অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ভোলার বোরহানউদ্দিনেন শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী জানান, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে তেল-গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানান, এসব জেলার প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার এলাকায় ভূ-কম্পন জরিপ বা সিসমিক সার্ভে করা হবে হবে। আগামী বছরের অক্টোবর মাস থেকে এ সার্ভে করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ২৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। আশা করা যায়, এসব জেলায় বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান মিলবে।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে গ্যাসের সন্ধান মেলে। গত ২৯ বছরে পর্যায়ক্রমে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে আরও গ্যাসের সন্ধান পেয়ে আটটি কূপ খনন করে বাপেক্স। আট কূপে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানান বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আলী।
তিনি বলেন, দ্বীপজেলায় গ্যাসের মজুদ আরও বাড়তে পারে। ভূ-কম্পনের মাধ্যমে সার্ভে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভোলার আটটি কূপ থেকে প্রতিদিন দুইশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। জেলার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বর্তমানে উত্তোলনের সক্ষমতা রয়েছে ৯১ থেকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
বাপেক্সের এই কর্মকর্তা জানান, ভোলায় এ বছরের জুনের মধ্যে ইলিশা নামে আরেকটি কুপ খনন করা হবে। সেখানে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা থেকে নিঝুম দ্বীপ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক-৬ এর আওতায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে। এ ছাড়া ব্লক ৭ ও ৯ এর আওতায় বাকি ৯ জেলায় গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স।