উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠা-নামা করছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়াতে এই এলাকায় শীতের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ৬ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়।
সকাল ৮ টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, হালকা কুয়াশার ফাক গলে সূর্যের আলোর হালকা দ্যুতি ছড়াচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের এ জেলার জনপদে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এত শীতের মধ্যেও ভোর থেকেই শ্রমজীবী দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক এবং সেই সঙ্গে ভ্যানচালকসহ কৃষকরা কাজে নেমে পড়ে।
সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের উপস্থিতি বেশ জেঁকে বসে এলাকায়। মূলত বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতিবেশী এলাকা হওয়াতে এ অঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা অনেক আগে থেকেই পরিলক্ষিত হয়। শীতকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের বাজারগুলোতে ভাপা, চিতই, পৌকন পিঠাসহ নানা রকম শীতকালিন উঠতে শুরু করেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় হিমেল বাতাস ও হালকা কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
তিনি বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। বেশ ঠান্ডা পড়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় শীত অনুভত হয়।’