শুক্রবার, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫৯ বার পঠিত

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার সর্বশেষ তথ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৭৪ জন। আর সিরিয়ায় দুই হাজার ৫৩০। মোট দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ১০৪ জন।

আলজাজিরা জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে তিনিই নিহতদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে সিরিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ২৮০ জন মারা গেছেন। আর সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ২৫০ জন। মোট দুই হাজার ৫৩০ জন।

আলজাজিরা জানাচ্ছে, হিমশীতল আবহাওয়া ও ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকের মধ্যেই তুরস্ক এবং সিরিয়ার উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনে চাপাপড়া জীবিত লোকদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্যোগ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এএফপি’র খবরে বলা হয়, একটি বিস্তীর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের শহরগুলোতে কয়েক হাজার ভবন ধসে সমতলে মিশে গেছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধ, বিদ্রোহ, উদ্বাস্তু সঙ্কট এবং সাম্প্রতিক কলেরা প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত এই অঞ্চলে আরো ভয়াবহ দুর্দশা নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে যে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুকূপে পরিণত এই এলাকায় দুই কোটি তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ডব্লিউএইচও’র সিনিয়র জরুরি কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং জাতিসঙ্ঘ স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী কমিটিকে বলেছেন যে ভূমিকম্প এলাকার মানচিত্রে দেখা যায়, ওই এলাকায় দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি, এদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার ভোররাতে প্রথম ৭.৮ মাত্রার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবনের বাসিন্দারা খালি হাতেই ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব এবং ভেতরে ঘুমন্ত অন্য কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। ওই সময়ে সীমান্তের ওপারের তুর্কি অংশে, হাতায়ে শহরের এক মর্মন্তুদ চিত্র ভেসে ওঠে প্রাপ্ত এক বর্ণনায়। এতে ধসে পড়া বিল্ডিংয়ের মধ্যে থেকে মুখ, চুল এবং পাজামায় ধুলোবালি মাখা সাত বছরের দিশাহারা এক কন্যা শিশু বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করেছে- ‘আমার মা কোথায় ?’

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস এবং গাজিয়েন্তেপের মধ্যবর্তী এলাকা। সেখানেই ঘটেছে সবচেয়ে প্রবল ধ্বংসযজ্ঞ। দুই মিলিয়ন লোকের একটি গোটা শহরেরই ধ্বংসস্তুপ এখন শুভ্র তুষারে ঢেকে আছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞে ২০,০০০ পর্যন্ত মারা যেতে পারে। আনুমানিক ২০ হাজার আহত লোকের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com