মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়নি এমন কেউ থাকলে তাদেরও স্বীকৃতি দেবে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়নি এমন কেউ থাকলে তাদেরও স্বীকৃতি দেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের নাগরিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। জনমত গঠন, আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র পাঠানোসহ সহযোগিতা করা অনেককেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সক্রিয় অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মসূত্রে বিদেশ পাড়ি দেন।’
দেশের চলমান পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, ‘জনগণ নাকি সব তাদের (বিএনপি) সঙ্গে। জনগণ যদি তাদের সঙ্গেই সব থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই জনগণ আসলো কোথা থেকে। লাখ লাখ মানুষ ক্ষমতাসীন দলের সমাবেশে জড়ো হচ্ছে। সুতরাং কার দিকে জনগণ আছে সেটি ভোটে প্রমাণ হবে।’
বিএনপির বর্তমান আন্দোলন ও কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চান, আমরা রাস্তায় নামি কেন! উনাদের সময় আমরা কেন শান্তি মিছিল-মিটিং করছি। আমরা তো অশান্তি সৃষ্টি করছি না বরং তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে- এই আশঙ্কায় আমরা শান্তি মিছিল করছি।’
এ ছাড়া তিনি সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ পদ্মাসেতুর কল্যাণে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন গত অর্থ বছরে ৩ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বুলবুল আহমেদ মুকুল। সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বৃহত্তর ফরিদপুরের সার্বিক উন্নয়ন, আগামীর সম্ভাবনা ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রবাসীদের ভাবনাও তুলে ধরেন।
লেখক: আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক