বৃহস্পতিবার, ১০:৪৩ অপরাহ্ন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপনে গৌরনদীর নাঠৈ রিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাত গৌরনদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হোসাইন তুষারের ইন্তেকাল রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করল সরকার জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, ২ ছাত্র আটক আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ শেখ হাসিনার কী করা উচিত, জানালেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট সাড়ে ২০ লাখ খরচেই চালু হচ্ছে কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার : যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের প্রতি যে আহ্বান জানালো টিআইবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই: ইফতেখারুজ্জামান

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬২ বার পঠিত

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ ছাড়া তিনি মনে করেন সাংবাবিধানিকভাবেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক দিবস উপলক্ষে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন: গণতান্ত্রিক সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে করণীয়’ শিরোনামে এ সভা অনুষ্ঠিক হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছি না। এটির প্রয়োজন নেই, আমরা মনে করি এটি সাংবিধানিকভাবে সম্ভব নয়। সেটা বিতর্কের ঊর্ধ্বে। যে জিনিসটা দরকার ও সম্ভব সেটি হচ্ছে অন্য দেশেও ক্ষমতাশীন দল নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করে, সরকারে থাকে। কিন্তু তাদের মূলত দায়িত্ব থাকে নির্বাচনকেন্দ্রিক ভূমিকা পালন করা। সরকারের অন্য ভূমিকা থেকে তারা ঊর্ধ্বে থাকে।’
নির্বাচনের সময় সরকারের ভূমিকা নিয়ে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ভোটে সরকার ইসিকে সহায়তা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে পেয়েছিলাম। এখন যদি আমরা আবার পেয়ে যাই, সেটা হয়তোবা স্বাগত হতে পারে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে সেটি কোনো অবস্থায় সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যাশা হবে আদর্শ গণতান্ত্রিক চর্চায় যাওয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদর্শিক গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে পড়ে না। এটি ইতিবাচক ফল একসময় দিয়েছিল, কিন্তু এতে বিতর্কও আছে।’

নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সেটি করার ক্ষেত্রে দুটি মূল প্রতিবন্ধকতা আছে। একটি হচ্ছে ভোটের সময়ে সরকারের ভূমিকা কতটা নিরেপেক্ষ হবে, স্বার্থের দ্বন্দ্ব কতটা হবে- সেটি নিশ্চিত করার জন্য আইন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। ইসি এমনটা উপলব্ধি করে বলে আমরা মনে করি। তার ওপর ভিত্তি করে ইসি সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে। কীভাবে আইনি রূপরেখা তৈরি করা যায় সেটা ভাবতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার তার ভূমিকা এমনভাবে পালন করবে যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যায়।’

নির্বাচন চলাকালে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে ভূমিকা সেটা ব্যাপাক আলোচিত। ইসি একা ভোট করে না। দুটি সংস্থার নিরপেক্ষতা গত দুই নির্বাচনে আমরা দেখতে পারিনি। এটা উদ্বেগের। এই ভূমিকা ভোটের সময় কীভাবে নিরপেক্ষ করা যায়- সেটা ইসির ভেবে দেখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মো. রফিকুল হাসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com