কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু নিজেদের হাতে নেই বলে বলে জানালেন ঢাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘ক্যাম্পাসের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আমরা সকল ব্যবস্থাই রাখছি। শিক্ষার্থীরা যাতে হানাহানিতে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। তবুও আমরা আমাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। জরুরি প্রভোস্ট কমিটির মিটিং ডেকেছি। সব প্রভোস্ট এবং আবাসিক শিক্ষকরা হলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের হুমকির মুখোমুখি না হয়, কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে এবং কারও ওপর যাতে হামলার ঘটনা না ঘটে। তার জন্য সব ধরনের নির্দেশনা রয়েছে।’
এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি কোনো বহিরাগত যাতে ক্যাম্পাসে এবং হলে প্রবেশ না করে। কেউ যদি প্রবেশ করে তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। সেটাও আমরা প্রভোস্ট কমিটির সভায় বলে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে সবকিছু নেই। আমরা চাইলেও সব কিছু করা সম্ভব না। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, আজ জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাবি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে আজ বিকেল ৪টায় ঢাবির ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা টিএসসির দিকে আসতে চাইলে তাদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও সাউন্ডগান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তার আগে আরেক হামলায় আরেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।