চরফ্যাশনের উপকূলীয় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক সময় যাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই বলতে কেবল ভরসা ছিল ঝুপড়ি ঘর, এখন তারা পাবেন পাকা বসতঘর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৯০টি পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। যার মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার অসহায় পরিবারগুলো উঠবেন তাদের স্বপ্নের ঠিকানায়।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ৬০ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট ৩০টি ঘর নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের এই ঘর পাওয়ার কথা শুনে ৯০টি পরিবারের চোখে মুখে এখন আনন্দের জোয়ার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমানের তত্ত্বাবধানে এ ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘরগুলোর বিপরীতে নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলায় পযার্য়ক্রমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৩৪০টি ঘরের মধ্যে ৩১০টিসহ সর্বমোট ৪০০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, এসব বাসগৃহে থাকবে দুইটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি বারান্দা ও একটি টয়লেট। এছাড়াও প্রতি ১০টি গৃহের জন্য থাকবে একটি করে নলকূপ। ইতোমধ্যে প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে, তাদেরআনা হয়েছে সমবায় সমিতির আওতায়। ফলে বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরেজমিন দেখা যায, ক্লাস্টারভিত্তিক এসব গৃহ গ্রথ সেন্টারের পাশে অবস্থিত। আছে যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা। কাছেই রয়েছে মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে খুব সহজেই সব ঘরের বাসিন্দাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
ভোলা-৪ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব ও অসহায় মানুষের কথা ভাবেন। তাদের উন্নতি ও মঙ্গলের জন্য তিনি সব সময়য চিন্তা করেন। তার নেতৃত্বে সারা দেশকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।