কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র উপকূলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ফিশিং ট্রলার ডুবি ও পরবর্তীতে উদ্ধার অভিযানে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুই উদ্ধারকারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে সৈকত এলাকা থেকে দু’জনের লাশ করা হয়।
উদ্ধার লাশ মো: ফাহাদ (২৮) ও মো: ইসমাইলের (২৭)। তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপের কোনাপাড়ার বাসিন্দা এবং স্পিডবোটের আরোহী ও ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধারকারী দলের সদস্য।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওসমান গনি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে টেকনাফের বাহারছরা বড় ডেইল সমুদ্র সৈকতে দু’টি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্বজনদের খবর দেয়।
দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে এসে স্বজনেরা লাশ দু’টি গ্রহণ করেন বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে সাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ছয়জন মাঝিমাল্লা ও ১১ জন যাত্রী ছিল। ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি স্পিডবোট সাগরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ট্রলারের ১৬ জনকে উদ্ধার করে তারা। তবে ট্রলারের যাত্রী নুর মোহাম্মদ শওকতের (২২) খোঁজ পাওয়া যায়নি। শওকত সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা ও টেকনাফ সরকারি কলেজের ছাত্র।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উদ্ধার তৎপরতার একপর্যায়ে একটি স্পিডবোট সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন উদ্ধারকারী মো: ফাহাদ (২৮) ও মো: ইসমাইল (২৭)। এ সময় স্পিডবোটে থাকা অপর তিনজন উদ্ধারকারী আব্দুল্লাহ, আরিফ ও উত্মত আলী বুধবার রাত ১০টার দিকে সাঁতরে শাহপরীরদ্বীপ ও সাবরাং উপকূল দিয়ে তীরে উঠেন।