বাংলাদেশের মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’। দেশে এমন সংবাদ চাউড় গত মাসে। এরপর এর পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে চলতি মাসের ১২ তারিখ ভারতীয় সিনেমা আমদানিতে সম্মত হয়েছে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ। এর ফলে আশার আলো দেখছে হল মালিকরা। আর সংবাদটি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ভক্তদের জন্যও সুখবর হয়।
তবে হতাশার কথা- চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদের সিদ্ধান্তের পরও ঝুলে আছে ‘পাঠান’ মুক্তির অনুমতি। এখন পর্যন্ত অনুমতি পায়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। এই মুহূর্তে তাদের দৃষ্টি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে- এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার অনন্য মামুন।
তার ভাষ্য, ‘তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, চলচ্চিত্রের সকল সংগঠন যদি লিখিত চিঠি দেয় তাহলে দেশে ভারতীয় ছবি আমদানিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আর আপনারা সবাই জানেন, ১৯টি সংগঠন একমত হয়েছে ও মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন উত্তর আমরা পাইনি। তবে শুনেছি, তারা আগামীকাল সোমবার একটি জরুরি সভা ডেকেছে। এখন দেখার পালা কি হয়? আশা করি, তাদের এই বৈঠকে পজেটিভ সিদ্ধান্ত আসবে।’
এদিকে ‘পাঠান’ মুক্তির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘সাফটা চুক্তির একটি ধারায় বলা আছে উপমহাদেশীয় ভাষার ছবি আমদানি রফতানি করা যাবে না। আবার আরেকটি ধারায় বলা হয়েছে ওই চুক্তির আওতায় একটি ছবির বিনিময়ে অন্য ছবি আনা-নেওয়া করা যাবে। সব মিলিয়ে ধারা দুটি আমাদের কাছে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। আমরা এখন বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে (মন্ত্রী ও সচিব) বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যদি মনে করেন, আইন অনুযায়ী আমদানি করার অনুমতি দেওয়া যায়; তাহলে আমরাও সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব তাদের।’
গেল ২৫ জানুয়ারি ভারতে মুক্তি পায় সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ সিনেমাটি। এর মধ্যদিয়ে চার বছর পর বড়পর্দায় ফিরেছেন বলিউড বাদশা। এতে শাহরুখ খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম। ক্যামিও হিসেবে আছেন সালমান খান। সিনেমাটি ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে দারুণ ঝড় তুলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে শাকিব খান অভিনীত ‘পাঙ্কু জামাই’ সিনেমাটি সাফটা চুক্তির আওতায় রফতানি করা হয়েছিল। সেটির রফতানিকারক ছিল অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। সিনেমাটি রফতানির পর মামুন আরেকটি ভারতীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে সেটি আমদানির কথা ছিল। কিন্তু সে সময় করোনা মহামারির কারণে তা আর হয়নি। গত মাসে মামুন বিষয়টি উল্লেখ করেই ‘পাঠান’ আমদানির জন্য অনুমতি চান।