ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের চার ম্যাচেই হারলো বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে ১৭৩ রান সংগ্রহ করেও বোলারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের সাথে হারতে হলো ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ফলে এই সিরিজে কোনো জয়ের মুখ না দেখেই অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা।
আজকের ম্যাচে আবারো উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। সিরিজে চতুর্থবারের মতো পরিবর্তন হওয়া এই ওপেনিং জুটিও ভালো স্কোর করতে পারেনি।
উদ্বোধনী এই জুটির মেয়াদ ছিল ১৩ বল। মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন লিটন দাস। উইকেটে এসেই শুরু হয় তার শৈল্পিক প্রদর্শনী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৫ বলে ১২ রান করে শান্তও ফিরে যান। পাওয়ার প্লেতে আসে ৪১ রান।
অতঃপর লিটন-সাকিবে ভর করে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ১০ ওভারে ৮০ রান সংগ্রহ করে স্কোরকার্ডে। দু’জনের ৮৮ রানের জুটিতে ছন্দে ফিরে বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে লিটন ফিরেন মোহাম্মদ নাওয়াজের শিকার হয়ে। ৬টি বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
লিটন মাঠ ছাড়লেও রানের গতি থামতে দেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাট চালিয়ে গেছেন। ১৯তম ওভারে যখন থামলেন ততক্ষণে ৪২ বলে ৬৮ রান করে ফেলেছেন।
সাকিব ফেরার পর আজও ব্যর্থ লোয়ার অর্ডার। শেষ ৯ বলে এসেছে মাত্র ৬ রান! শেষ চার ব্যাটার মিলে করেছেন ১৭ বলে মোটে ১৫ রান। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায়।
একদিকে ভালো করলে অন্যদিকে যে ব্যর্থ হতেই হবে তা যেন অমোঘ নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো ম্যাচে বাজে ফিল্ডিং আর সাইফুদ্দিনের বোলিং বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ১২ ওভারেই পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ১০০ পেরিয়েছে। যার বড় কারণ সাইফুদ্দিনের বাজে বোলিং। প্রথম দুই ওভারেই ৩০ রান দিয়েছেন। আর একটি ক্যাচও মিস করেছেন।
১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাতে বাবর আজম ফেরেন ৪০ বলে ৫৫ রানে। কোনো রান না করেই সাজঘরে হায়দার আলী।
সাইফুদ্দিনের পর নওয়াজ আলি চড়াও হন সাকিবের উপর। ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় সেই ওভারে রান আসে ১৭। হাসান মাহমুদের সেই ওভার ছাড়া পাকিস্তানকে চাপে ফেলার মতো ওভার ছিল না আর একটাও।
সৌম্য সরকার ১৯তম ওভারে ৫৬ বলে ৬৯ করা রিজওয়ানকে ফেরালেও পাকিস্তান ততক্ষণে জয়ের সুবাস পেয়ে গেছে। ১ বল বাকি রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ৪৫ রানে। ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন সাইফুদ্দিন।