এবারের আসরে অপ্রতিরোধ্য দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চার ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ পায়নি একটি ম্যাচেও, জয় পেয়েছে চারটিতে। তবে এর মাঝে ফ্রাঞ্চাইজিটি আলোচনায় উঠে এসেছে ফিক্সিং কাণ্ডে। জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়েছে দলটি।
জানা গেছে, সিলেটের একজন মালিককে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে একটি চক্র। তবে তাতে সাড়া দেননি তিনি। বরং বিষয়টি বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আকসু) মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে সিলেট কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বিন্দুমাত্রও চিন্তিত নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আসলে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু হয়নি। মৌখিকভাবে সিলেট স্ট্রাইকার্স জানিয়েছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি। এটা রিপোর্টেড কিছু নয়। প্রতি দুই-তিন খেলা পরপর দুই-একটা করে রিপোর্ট পাই আমরা। তবে তা সিরিয়াস কিছু নয়।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বিষয়টি নিয়ে বলে, ‘আমরাও আপনাদের মতো বিষয়টা শুনেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো অভিযোগ না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারি না। তবে আমাদের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট চোখ-কান খোলা রাখছে। কোনো ক্লু পেলেই তারা এ নিয়ে এগোবে। পুরো বিষয়টা তারাই দেখবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমরাও উড়োউড়ো খবর শুনছি।’
গতকাল ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সিলেট দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজাও। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো পরিচালকের কাছে প্রস্তাব গিয়ে থাকে সেটা তিনি জানবেন। আর এটা এখন সবাই জানে। তেমন কোনো বিষয় না।’