পাকা হোক বা কাঁচা, দুই অবস্থাতেই কলা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ যোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু জানেন কি, শুধু কলা নয়, কলার খোসারও রয়েছে নানা গুণ। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে রূপচর্চা- কলার খোসার কিন্তু জুড়ি মেলা ভার।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কলার খোসায় লুটেইন থাকে। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, পটাসিয়াম, জিংক, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ।
# ঠিকমতো ব্রাশ না করার কারণে অথবা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে দাঁতে হলুদ ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে কলার খোসা সকালে ব্রাশ করার পর দাঁতে ঘষে নিন। ১০ মিনিট রেখে আঙুল দিয়ে ডলে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এভাবে মুখ পরিষ্কার করলেই দেখবেন দাঁত আবার সাদা হয়ে গেছে।
# পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠিক করার জন্যও আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। একই সঙ্গে এটি দিয়ে জুতা পালিশও করে ফেলা সম্ভব।
# আঁচিলের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে কলার খোসা দিয়ে সেই স্থানে বসিয়ে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এভাবে পরপর কয়েকদিন করলেই আঁচিল পড়ে যাবে।
# ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন, অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক দিন ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
# যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাৎ কামড় দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে।
# কলার খোসা দিয়ে চামড়ার জুতা, কাপড়, রুপার গয়না পরিষ্কার করতে পারেন। তাতে অলংকার টেকসই হয় ও মসৃণতা বাড়ে।