বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ।
গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের অভিযান চলাকালে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৫০ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে রিজভী, এ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত বিএনপির দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্টন মডেল থানাধীন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেআইনি জনতাবদ্ধে হাঙ্গামা করে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ ও বলপ্রয়োগ করে গুরুতর জখম করে। ক্ষতি সাধনের জন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি বা জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ ঘটনায় পুলিশের উপ-কমিশনার মতিঝিল বিভাগ ও অতিরিক্ত কমিশনার মতিঝিল জোনসহ অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন হয়। মামলাটি তদন্তকালে মির্জা ফখরুল ও আব্বাস ওই ঘটনার পরিকল্পনাকারী, উসকানিদাতা এবং নির্দেশদাতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।