গতকাল রবিবার বিদায়ি বছরের শেষ দিনে দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে। ঢাকাসহ দেশের অনেক অঞ্চলেই বেড়েছে কুয়াশার ঘনত্ব।
গতকাল রবিবার বিদায়ি বছরের শেষ দিনে দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে। ঢাকাসহ দেশের অনেক অঞ্চলেই বেড়েছে কুয়াশার ঘনত্ব।
জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তাপমাত্রা ও উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদায়ি বছর। অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর দেশে তাপপ্রবাহের দিনসংখ্যা ছিল অনেক বেশি।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) বলছে, জলবায়ুগতভাবে ২০২৩ একটি ঐতিহাসিক ও অস্বাভাবিক বছর ছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানান, গত বছরের (২০২৩) মতো নতুন বছরের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বেশি থাকতে পারে। এল নিনো সক্রিয় থাকতে পারে চলতি বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত। এরপর আবহাওয়া আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
২০২৩ সালে বঙ্গোপসাগরে চারটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিই আঘাত হেনেছে দেশের উপকূলে। যেকোনো বিবেচনায় এই অবস্থাকে অস্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
তাঁরা বলছেন, উষ্ণ অবস্থা থাকলে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের মূল্যায়নে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০২৩ সালের ১২ মাসের মধ্যে ১০ মাসই কোনো না কোনোভাবে আবহাওয়া অস্বাভাবিক ছিল। আর দুই মাস ছিল স্বাভাবিক, যখন কি না তেমন কোনো বিরূপ বা চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যায়নি। তাই বলা যায়, আবহাওয়া বিবেচনায় একটা অস্বাভাবিক বছর পার করলাম আমরা।’