শহিদ জিয়ার দর্শন বেগম জিয়ার ভিশন ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশনায়ক তারেক রহমানের রোডম্যাপ বিএনপি মিডিয়া সেল কর্তৃক বিশিষ্টজনের সাথে ‘জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, দেশে একদলীয় শাসনক্ষমতা যেন কেউ কোনদিন প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম ক্লাবে বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠন এখন সময়ের দাবি। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার ধারণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুনগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রুপান্তর মুলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এজন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সকল দল ও শক্তিসমুহকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগনের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।
সভায় বিশিষ্টজনরা বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থার যুগোপযোগী সংস্কারে নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার গঠন ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনে একমত পোষণ করে নানা ধরনের পরামর্শ দেন।
মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
মূল প্রবন্ধে শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, শত শত ভাই বন্ধু সহকর্মীর সন্তান পিতার খোঁজে কান্নাভেজা চোখে আকুতি জানাচ্ছে, আমার পিতা কি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন? গুম হওয়া পিতা কিংবা ভাইয়ের জন্য কোমলমতি সস্তান-স্বজনের এমন আর্তনাদই প্রমাণ করে, বছরের পর বছর ধরে বিনাভোটে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা চলমান ফ্যাসিবাদি শাসনের ভয়াবহতা।
তিনি বলেন, দেশে আজ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে বিনাভোটের ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদী করার জন্য গোয়েন্দা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গোপন ১গুম কেন্দ্র’ ও টর্চার সেল বানানো হয়েছে। গণমাধ্যমে তথ্য প্রমান হাজির করে অত্যাচারের এই গোপন কেন্দ্রগুলোকে ‘আয়নাঘর’ নামে অভিহিত করেছে। গণতন্ত্রকামী কিংবা ভিন্ন দল-মতের মানুষকে এই ‘আয়নাঘর’ আর ‘আওয়ামী লীগ’ এখন বছরের পর বছর ধরে এই ‘আয়নাঘরে’ গুম করে রাখে। জনগণ নয়, এই ‘আয়নাঘর’ই সরকারের অবৈধ ক্ষমতার উৎস।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরী, রুমিন ফারহানা এমপি, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চবি রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হায়াত হোসেন, বিশিষ্ট চিসিৎসক অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, অধ্যাপক আবদুল আলিম, ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, এড. আবদুস সাত্তার, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, এড. এনামুল হক, সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ, ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী।