রবিবার, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত পর্যটন নগরী বান্দরবান

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৮ বার পঠিত

৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সমাপ্ত হয়েছে বান্দরবান-কেরানীহাট জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। আর এর মাধ্যমে জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হলো পর্যটন জেলাখ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবান।

২০১৯ সালে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি মহাসড়কে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্যাটভলিয়নের তত্ত্বাবধানে ২০ ইসিবি জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত বছর ১৫ ডিসেম্বর কাজ শেষ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি। কিছু দিনের মধ্যে সড়কটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক। পর্যটন শহর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন সড়কটি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে জেলার একমাত্র সড়কটি আঁকাবাঁকা,
ঢালু ও সরু হওয়ায় প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যেত সড়কের বিভিন্ন অংশ। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ। দুর্ভোগে পড়তেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে ২০ ইসিবি ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। প্রকল্পের আওতায় ২১টি ব্রিজ, ১৫টি কালভার্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সোজাকরণ, ড্রেনেজ নিষ্কাশন, আরসিসি প্যালাসাইডিংসহ ২৪ ফুট সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে সড়কটিকে মহাসড়কে উন্নীত করা হয়। এর ফলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্থাপন হবে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ এবং কমবে দুর্ঘটনার হার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি হওয়ায় দুর্ঘটনার হার কমবে, বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলার দূরত্ব কমে আসবে, জিনিসপত্র নিয়ে সহজে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যাবে।

প্রকল্পের কর্মকর্তা মেজর মো. শাহ সাদমান রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা প্রকল্পের কাজটি শেষ করেছি। কাজটি সমাপ্ত করতে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এ ছাড়া বান্দরবান সেনা জোন সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় বাড়াইনি এবং সেনাবাহিনীর নিজস্ব অর্থায়নে কিছু কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। এর ফলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সঙ্গে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের। দুর্ঘটনার হারও কমে আসবে।

এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন বলেন, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে পর্যটকসহ স্থানীয়দের যাতায়াতব্যবস্থা সহজ ও নিরাপদ হবে। ব্যবসাবাণিজ্যে গতি আসবে, অর্থনৈতিকভাবে এলাকার উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে সড়কটি শিগগির উদ্বোধন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com