জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজ্যুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চস্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।
সাম্প্রতিক উচ্চস্তরের ফোরাম, যা ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।
এই বছর রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সর্বস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সম্মান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবিলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এই বছরের প্রস্তাবটি ১১২টি দেশ সমর্থন করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।