প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের জনগণের যে আস্থা তারা অর্জন করেছেন তা ধরে রাখার লক্ষ্যে সেবা অব্যাহত রাখতে বলেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক দিকগুলো মাথায় রেখে জনগণের সেবা করা, যাতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে।’
তিনি বলেন, পুলিশ এখন জনগণের বাহিনী হিসেবে জনগণের সেবা করছে। অতীতে তারা (জনগণ) পুলিশের ভয়ে থাকত।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন তারা জানে যে পুলিশ তাদের সেবা করে ও তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং জনগণের আস্থা অর্জন যেকোনো বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের পুলিশ বাহিনীকে উন্নত দেশের মানদণ্ডে উন্নীত করতে চায়। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আমাদের পুলিশ বাহিনীকে একটি দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে চাই।
দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় কেউ যেন কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা স্মরণ করেন যে বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জনগণের ওপর অগ্নিসংযোগ চালিয়েছিল। দেশে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সেইসব হামলা প্রতিহত করার জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য।
খোলা জিপে চড়ে প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি ২০২২ সালে সাহসী কাজের জন্য ১১৫ জন পুলিশ ও র্যাব সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ মেডেল (পিপিএম) প্রদান করেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন পিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন বিপিএম-সার্ভিস ও ৫০ জন পিপিএম-সার্ভিস।
সূত্র : ইউএনবি