ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
একই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের অন্যতম ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রলীগের সম্মেলন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে জানান জয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, আয়োজন করার অনুমতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতান্ত্রিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি। সম্মেলন অনুষ্ঠান সাফল্যমণ্ডিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জয়।
এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ইবরাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসানসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা আবার স্থগিত করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফরের কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। একই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। পরে তারা বহিষ্কার হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করা হয়। এরপর থেকে তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।