২০১৮ সালের মার্চে তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আসাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত মিলনের চাচা অলি উল্লাহ। মামলায় আসামিরা হলেন শাহবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এস আই) সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান মুন্সি, অমল কৃষ্ণ ও শাহরিয়ার রেজা। এ ছাড়া দুই থানার অজ্ঞাতনামা আরও আট থেকে ১০ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কেরাণীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..