বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অতি দ্রুত জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আন্দোলনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নির্ধারিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যেকোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা সংগঠন যারা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করবে তাদের সকলের সাথে আমরা যুগোপৎ আন্দোলন করব।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকার বেশি দিন টিকে থাকে গুম, খুন, নির্যাতন, গ্রেফতার ও দমন নীতির মধ্য দিয়ে। ভোলায় আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে হত্যার পরও মানুষ বেরিয়ে আসছে। কিন্তু তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য একটি মাত্র পথ, সেটা হলো নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার চালু করা।
তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই। এই সংসদ বাতিল করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তাদের অধীনে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। তার মৌলিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। নাশকতা বন্ধ করা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা।