চুয়াডাঙ্গায় ১৬ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা। বাতাসে বইছে আগুনের হল্কা। আজ শনিবার এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি এ মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। একটানা এই তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপ প্রবাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত ১৬ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি আছে।
তিনি আরো বলেন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মেনে চলতে। যেহেতু হিটস্ট্রোক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেইসাথে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।